মিশরের বিখ্যাত তাপোসাইরিস ম্যাগনা মন্দির এলাকার আশপাশে চলছিল খনন কাজ। ইউনিভার্সিটি অফ সান্তো দমিনগো এবং তার তরফে অধ্যাপক ক্যাথলিন মার্টিনেজের তত্ত্বাবধানে এই খনন কাজ থেকে ১৬টি পাথরের কবর খুঁজে পাওয়া গেছে। আর তার মধ্যেই একটি মমির মুখের ভেতরে কিছু একটা চকচক করতে দেখে অবাক হয়ে যান গবেষকরা। পরে দেখা যায় ওটা আসলে একটা সোনার জিভ!
সোনার জিভটি নিয়ে আপাতত নানা জল্পনা চলছে প্রত্নতাত্বিক মহলে। সঠিক কারণটি নিশ্চিত করে বলা যদিও সম্ভব নয়। অনেকের অনুমান, এই মৃত মানুষটি যাতে পাতালে গিয়ে মৃত্যুলোকের দেবতা আসিরিসের সঙ্গে কথা বলতে পারে, সেই জন্যই তাকে দেওয়া হয়েছিল সোনার জিভ। যখন এই মৃতদেহটিকে মমিফায়েড করা হয়েছিল তখন এই জিভ বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সোনার জিভযুক্ত মমিটির কঙ্কা এবং করোটির বেশির ভাগটাই অটুট আছে। আবিষ্কৃত অন্য মমিগুলো এতটা ভালো দশায় না থাকলেও এদের সবগুলোর পাথরের মুখাবরণ ঠিকঠাক আছে।
ফলে, জীবদ্দশায় কাকে কেমন দেখতে ছিল, তা বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট। এই সোনার জিভ ছাড়াও একটি মমির মাথায় সাপ খোদাই করা সোনার মুকুট মিলেছে। মিলেছে বুক-জোড়া সোনার হার, যেখানে বাজপাখি খোদাই করা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, মিশরের এই এলাকা অনেক বছর ধরেই ঐতিহাসিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। ক্লিওপেট্রার প্রতিকৃতি শোভিত স্বর্ণমুদ্রাও পাওয়া গেছে এখান থেকে। যা থেকে অনুমান করা হয় যে ক্লিওপেট্রার সমকালীন ব্যক্তিদেরও এখানে কবর দেওয়া হত।